শরীয়ত ও তরীকতঃ একজন ব্যক্তি এসে বলল তরীকত শরীয়তের পূর্ববতী। হযরত গাউসুল আলম সৈয়দ আশরাফ জাহাঙ্গীর সিমনানী (আলাইহির রাহমাহ) এরশাদ করলেন, তুমি সুফীদের উপরে দোষারুপ করছ, তারা এমন কোন শব্দ ব্যবহার করেন নাই যা কিতাব ও সুন্নতে নাই। তরীকত প্রকৃত শরীয়ত আর শরীয়ত তরীকত হতে আলাদা নয়। তিনি আরও এরশাদ করেন, যে আচার ব্যবহারের শিক্ষাদীক্ষা আর কলবের পবিত্রকরণ ও রূহ সম্বন্ধে যা কিছু কোরআন পাকে উল্লেখযােগ্য, তা হতে মাশায়েখকেরাম তরীকতের মাসআলা উদঘাটন
করেছেন। হযরত এরশাদ করলেন, আমি মালফুজাত নামের কিতাবের এক একটি অক্ষর পড়ছি। প্রত্যেক আওলীয়ার জীবনী সম্বন্ধে অবগত হয়েছি। কিন্তু সুফিয়া কেরামের লিখিত ও বর্ণনা দ্বারা এ কথা জানা যায় নি যে, তাসাউফের এমন কোন স্তর রয়েছে যেখানে পৌছলে ইবাদত করা হতে মুক্তি পাওয়া যায়। অবশ্যই ঐসব আল্লাহ পাকের নৈকট্য লাভকারীরগণ উচ্চ পদ মর্যাদাগুলি লাভ করেছেন, কিন্তু আমলের কোন অংশ বর্জন করেন নাই বরং জীবনের শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত ফরজ ও ওয়াজিব কার্যগুলি পালনে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। তাদের দ্বারা সুন্নতের সামান্য কোন পরিমান অংশও কাজা হয় নি।সুফীর শরীয়তের কার্যকলাপঃ হযরত এরশাদ করলেন, জনাব শিবলী রহমাতুল্লাহি আলাইহি এর যখন অন্তিম নিঃশ্বাসের সময় হল। সে সময় শায়খকবীর দানবী নামের একজন বুযুর্গ ও জীনক বুযুর্গ উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলতেন যে, হযরত শিবলী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ইঙ্গিত দ্বারা জানালেন, আমাকে ওজু করিয়ে দেও। অতঃপর তাকে ওজু করালাম কিন্তু দাড়ির খেলাল করতে ভুলে গেলাম সে সময় তাঁর জবান বন্ধ হয়ে গিয়েছিল কিন্তু তিনি স্বীয় কম্পিত হাতের দ্বারা আমার হাত ধরে নিজের দাড়ি পর্যন্ত এনে খেলালের ইঙ্গিত করলেন আর তার পবিত্র রুহ বের হয়ে গেল।
আল্লাহর ওলীর সম্পর্কে গীবত করার পরিণামঃ মাওলানা রুমির আস্তানায় উপস্থিত থাকা কালীন এক দিন এক ব্যক্তি হযরত মাখদুম আশরাফ এর গীবত করছিল। মাখদূম রুমির সাজ্জাদানশীন হযরত গাউসুল আলম এর খেদমতে এসে বর্ণনা করলেন যে, আজ আমি স্বীয় প্রকাশ্য চক্ষু দ্বারা দেখলাম এক দল ফেরেস্তা খুবই উত্তেজিত ও রাগান্নিত অবস্থায় জমিনের উপর আসছিল, আমি জিজ্ঞাসা করলাম, তােমরা কোথায় এবং কেন যাচ্ছাে ঐ ফেরেস্তাগণ উত্তর দিল যে, এক ব্যক্তি গাউসুল আলম মাখদূম আশরাফ জাহাঙ্গীরের গীবত করেছে। আমরা তার ঈমানের শিকড় কাটতে এসেছি (নাওজুবিল্লাহ)।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন