উনার পূর্বপুরুষগণ বােখারার অধিবাসী ছিলেন। উনারা লাহাের হতে বাদায়ুন তাশরিফ নিয়ে আসেন। তিনি বাদায়ুনেই ৬৩৪ হিজরিতে জন্মগ্রহণ করেন। সেখানেই শিক্ষাগ্রহণ করেন এবং ১৬ (ষােল) বছর বয়সে দিল্লী তাশরিফ নিয়ে আসেন। সেখানে তিনি তালকিন ও শিক্ষাদানের মধ্যে ব্যস্ত থাকতেন। অতঃপর তিনি পাক-পাটান শরীফ তাশরিফ নিয়ে আসেন এবং হযরত খাজা ফরিদউদ্দীন গঞ্জেশকর (আলাইহির রাহমাহ) এর নিকট বায়াত গ্রহণ করেন।
মারেফাত ও তাছাউফের সমস্ত ধাপ পরিপূর্ণ করার পর
বাবা গঞ্জেশকর (আলাইহির রাহমাহ) বলেন, হে নিজাম! যাও এবং ভারতবর্ষ নিয়ে নাও। আমি তােমাকে আল্লাহর নিকট সমর্পন করলাম এবং এই রাজ্যকে তােমার হাতে দিয়ে দিলাম। মাহবুবে ইলাহী (আলাইহির রাহমাহ) এর সত্তা এমন পবিত্র সত্তা যা চিশতিয়া সিলসিলাকে চিরস্থায়ী জীবন দান করেন। উনি এবং উনার সম্মানিত খলিফাগনই দুনিয়ার পূর্ব হতে পশ্চিম প্রান্ত পর্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে হেদায়াত ও দ্বীনের প্রচারের মাধ্যমে খাজা গরীবে নেওয়াজ (অালাইহির রাহমাহ ) এর মিশনকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌছান। তিনি ৭২৫ হিজরী দিল্লীতে ইন্তেকাল করেন। আজ নয়াদিল্লীর চমৎকার এলাকাটি “ বাস্তিয়ে হযরত নিজামুদ্দীন" নামে পরিচিত। যেখানে উনার পবিত্র মাযার শরীফ অবস্থিত সে স্থানটি সমগ্র সৃষ্টি জগতের জিয়ারতের কেন্দ্রস্থল হয়ে রয়েছে। উনার উরস মােবারক প্রতি বছর রবিউস ছানি মাসের ১৭, ১৮, ১৯ ও ২০ তারিখে অনুষ্ঠিত হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন