উনার প্রকৃত নাম মাসউদ। তিনি ৫৬৯ হিজরীতে জন্মগ্রহন করেন। বাল্যকাল থেকে আল্লাহ্ তায়ালা উনার মাঝে ফকিরী ও দ্বীনের প্রচার ও প্রসারের জযবা দান করেন। তিনি খাজা কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকী (আলাইহির রাহমাহ) এর নিকট বায়াত গ্রহণ করেন এবং মারেফাতের সর্বোচ্চ স্তরে উন্নতি সাধন করেন। খাজা কুতুবউদ্দিন (আলাইহির রাহমাহ) উনাকে বায়াত করানাের পূর্বে একাধারে তিনদিন রােজা রাখার হুকুম দেন। ৩য় দিন এক ব্যক্তি কিছু রুটি হাদিয়া দিলেন, রুটি খাওয়ার সাথে সাথে উনার হাজত ধরে এবং যা কিছু মুখে
দিয়েছিলেন সব বের হয়ে গেল তিনি পুরাে ঘটনা আপন পীরের নিকট বর্ণনা করলে তিনি বলেন “ ঐ রুটি এক মদ বিক্রেতার কামাই থেকে কেনা হয়েছিল, আল্লাহর করুনা তােমার পেটকে নাপাকী থেকে পাক রেখেছেন।" তিনি আবার ৩ দিন রােজা রাখলেন। ৩য় দিন ইফতারের সময় হলে ইফতার করার জন্য কোন খাবার ছিল না, এভাবেই রাতের এক প্রহর কেটে গেল। যখন ক্ষুধার তীব্রতা প্রচন্ড বেড়ে গেল তখন তিনি কিছু পাথরের টুকরা মুখে দিলে তা চিনিতে পরিণত হয়ে গেল। তিনি মনে করলেন, এটা হয়তাে শয়তানী প্রতারনা এই কারণে তিনি তা মুখ থেকে ফেলে দিলেন। যখন অর্ধরাত অতিক্রম হয়ে গেল এবং ক্ষুধার তীব্রতা আরাে বৃদ্ধি পেল তিনি আবার কিছু পাথরের টুকরা মুখে রাখলেন আবারাে তা চিনিতে পরিণত হয়ে গেল। তখন তিনি বুঝলেন এটা অদৃশ্যের বস্তু। যখন এ ঘটনা তার পীরের নিকট বর্ণনা করলেন তখন তিনি বলেন,“ যাও তােমার সকল কাজ চিনির মত মিষ্টি হবে। সেই দিন থেকেই উনাকে গঞ্জেশকর নামে স্বরণ করা হয়ে থাকে।খাজা গরীবে নেওয়াজ (আলাইহির রাহমাহ) বলেন, “ ফরিদ এমন“ উক্বাব ”পাখি যার ঘর (ঠিকানা) ছিদরাতুল মুনতাহায়,”। তিনি খাজা কুতুবুদ্দীন বখতিয়ার কাকী (আলাইহির রাহমাহ) এর নিকট বায়াত হন এবং খাজায়ে আজমেরী ও উনাকে মারেফাতের জাম পান করান। তিনি পাক-পাটান শরীফ জেলা-শাহীওয়াঁ পাঞ্জাব, যা পাকিস্তানের একটি বিখ্যাত গ্রাম সেখানে ৬৬৩ হিজরীতে ইন্তেকাল করেন।উনার পবিত্র উরস শরীফ প্রতি বছর মুহারামের ৫ ও ৬ তারিখ পাকিস্তানের পাকপাটান শরীফে, ভারতের আজমীর শরীফেও উদযাপন করা হয় যেখানে লক্ষ লক্ষ আশেকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন