উনাকে সারওয়ারে কায়েনাত, তাজেদারে মদীনা, রাহাতে ক্বালবওসীনা শাহ হযরত মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ভারতবর্ষে বেলায়াত প্রদান করে পাঠান। এজন্যই উনাকে নায়েবুন্নাবী, আতাউন্নাবী, আতায়ে রাসূল এবং সূলতানুল হিন্দ বলা হয়ে থাকে। গরীব ও অসহায়দের সাহায্য করা উনার অনেক প্রিয় কাজ ছিল একারণে উনাকে“ গরীব নেওয়াজ " ও বলা হয়। তিনি আপন পীর ও মুরশীদ খাজায়ে খাজেগা খাজা ওসমান হারুনী(আলাইহির রাহমাহ) এর একাধারে ২০ বছর খেদমত করেন এবং হাক্বীকাত ও মারেফাতের গুপ্ত রহস্যের ভান্ডার হাসিল করেন। উনার পীর ও মুরশীদ উনাকে খিলাফাত দেয়ার পর বলেন,“ যাও আমি
তােমাকে আল্লাহর নিকট সমর্পন করলাম, মঈনউদ্দীন আল্লাহর বন্ধু এবং সে আমার মুরীদ হওয়ার ব্যাপারে আমি অনেক গর্ব করি। শিরক, মূর্তিপূজা ও পথভ্রষ্টতায় ঘেরা ভারতে ও এর সাথে আরাে অনেক দেশে তিনি হেদায়াতের আলাে প্রজ্জলিত করেন এবং এ দেশের বহু অমুসলিম, সাধু ও পন্ডিতদের তিনি চিশতীয়া রঙে রঙীন করে প্রকৃত মুসলমান বানান। ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশে লক্ষ লক্ষ কামিল খলিফা এবং আরিফগণের জাল বিছিয়ে দেন।বর্তমানে ভারতবর্ষে ইসলামের যা কিছুই আছে, সবই খাজা গরীবে নেওয়াজের (আগাইহির রাহমাহ) তাবলীগ ও ইরশাদের নিদর্শন। আল্লাহ্ তায়ালার দরবারে উনার নৈকট্যের পর্যায় এমনই ছিল যে, ইন্তেকালের সময় উনার কপাল মােবারকে অদৃশ্যে এই লেখা উঠেছিল যে,
هذا حبیب الله مات في حب الله অর্থাৎ ইনি আল্লাহর প্রিয় এবং উনার ভালবাসাতেই উনার প্রিয় হয়ে গেছেন।(অর্থাৎ, ইন্তেকাল করেছেন)।
৬ ই রজবুল মুরাজ্জাব ৬৩২ হিজরীতে তিনি ইন্তেকাল করেন। ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশে অনেক জাকজমকপূর্ণভাবে উনার উরস শরীফ পালন করা হয়। লক্ষ লক্ষ আশেকবৃন্দগণ ১লা রজব থেকে ৯ ই রজব পর্যন্ত উরস শরীফে অংশগ্রহণ করেন। ৬ ই রজবে কুল-শরীফ হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন