মঙ্গলবার, ১০ নভেম্বর, ২০২০

বেলায়তের উচ্চ স্থানঃ

মাহবুবে ইয়াযদানী, গাউসুল আলম হযরত সৈয়দ আশরাফ জাহাঙ্গীর সিমনানী (র.) বেলায়তের সর্বোচ্চ স্থান-গাউসিয়ত লাভ করেন। তাঁর এ উচ্চ রােতবা লাভ সম্পর্কে পূর্ববর্তী অনেক জগত বিখ্যাত অলির ভবিষ্যদ্বানীর কথা জানা যায়। যেমন হযরত খাজা কুতুবুদ্দিন বখতিয়ার কাকী (র.) দিল্লীর সুলতান শামসুদ্দিন আলতামাশ এর সময়ে হযরত মাহবুবে ইয়াযদানীর (রহ.) এর দাদা হযরত সৈয়দ শামসুদ্দিন মাহমুদ নুর বখশী (র.) দিল্লী ভ্রমণে আসলে হযরত বখতিয়ার কাকী (র.) তাকে বলেন, “আমি আপনাকে সুসংবাদ জানাই যে, আপনার

বংশে একজন ‘গাউস’ এর আবির্ভাব হবে এবং তিনি আমার সিলসিলাকে সম্প্রসারিত করবেন।” সুলতানুল হিন্দ হযরত খাজা মুঈনউদ্দিন চিশতী (র.) "রেসালায়ে গাউছিয়া" নামক কিতাবে অনুরূপ মন্তব্য করেছেন। হযরত মাহবুবে ইয়াযদানী (র.) এর মুর্শিদ হযরত শেখ আলাউদ্দিন ‘গঞ্জে  নাবাত' (র.) ও তাঁর গাউসিয়তে অধিষ্ঠান সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। হযরত নেজামুদ্দিন ইয়ামেনী (র.) তবকাতে সুফিয়া নামক কিতাবের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, হযরত শেখ মুহিউদ্দিন ইবনে আরবী (র.) একদা কাবা শরীফে তাওয়াফরত ছিলেন। তিনি দেখলেন যে, একজন লােক অত্যন্ত দ্রুততার সাথে কাবা ঘর তাওয়াফ করছেন। লােকের প্রচন্ড ভিড়েও তিনি কারাে শরীরের স্পর্শ না লাগিয়ে আশ্চর্যজনক ভাবে সবার আগে তাওয়াফ সমাপ্ত করেছিলেন। হযরত শেখ ইবনে আরবী (র.) এটা দেখে অত্যন্ত অবাক হয়ে ভাবতে লাগলেন এ ব্যক্তির উপস্থিতি কি শারীরিক না কেবল রূহ-ই শরীরের রূপ ধারণ করেছে? তিনি তাওয়াফ শেষে ঐ ব্যক্তিকে সালাম দিয়ে আলাপে অবগত হলেন যে, তার নাম হযরত আবু বকর শিবলী, হযরত শেখে আকবর মুহিউদ্দিন ইবনে আরবী তাঁর কাছে জিজ্ঞাসা করলেন যে, তিনি জানেন কিনা তখনকার ‘গাউস’ কে? তিনি বললেন যে, তিনিই সেই ব্যক্তি এবং তার পরবর্তী গাউস হবেন  হযরত সৈয়দ জালাল এবং অতঃপর হযরত সৈয়দ আশরাফ জাহাঙ্গীর পৃথিবীতে সর্বদা একজন 'গাউস’ বিরাজমান থাকবেন। হযরত রাসুলে মাকবুল সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসল্লামের ওফাতের পর হতে হযরত মাহবুবে ইয়াদানী (র.) পর্যন্ত উনিশ জন গাউস এর জমানা অতিক্রান্ত হয়েছে। হযরত মাহবুবে ইয়াযদানী বিখ্যাত দরবেশ হযরত শেখ এমাদুদ্দিন ইসমাইল ইবনে শেখ সদরুদ্দীন আসদী (র.) এর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন যে, গাউসের মাজার শরীফের সঠিক অবস্থিতি গাউস ভিন্ন অন্যদের কাছে গােপন থাকে। তবে গাউসে আজম এবং হযরত মাহবুবে ইয়াযদানী স্বয়ং ও অপর কয়েকজন গাউস সম্পর্কে সর্বসাধারণ অবহিত থাকবে। কিয়ামত পর্যন্ত লােক তাদের কাছ হতে ফয়েজ হাসিল করতে সক্ষম হবে। গাউসুল আলম হযরত সৈয়দ আশরাফ জাহাঙ্গীর সিমনানী (র.) এর এটা এক অনন্য বৈশিষ্ট্য। পৃথিবীতে যত আউলিয়া কেরামের আবির্ভাব হবে তাদের সকলেই কোন না কোন নবীর বৈশিষ্ট্য গুনাবলী ধারণ করবেন। যেমন কাসিদায়ে গাউসিয়ায়’ হযরত মাহবুবে সুবহানী পীরানে পীর মুহিউদ্দিন সৈয়দ আবদুল কাদের জিলানী (রহ.) বলেন, প্রত্যেক অলিই কোন একজন নবীর পদাংকে থাকেন এবং আমি স্বয়ং রাসুলে মাকুবল সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম এর পদাংকে রয়েছি। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Featured post

Hazrat Noorul Aen Ki Shadi, Aulad Aur Sajjadanashin Janashine Makhdoom Ashraf

  Jab Syed Ashraf Jahangir Simnani (R.A) Syed Abdur Razzaq Noorul Ain (R.A) ki Zahir o Batini Tarbiyat farma chuke aur unhain uloom o funoon...