তিনি শাহী খানদানের অধিকারী ছিলেন কিন্তু ছােট থেকেই ফকির ওদ রবেশদের সাথে প্রচন্ড ভালবাসা রাখতেন। ঘরে কোন জিনিসের কমতি ছিল না কিন্তু উনার মানব সমাজের চেয়ে বেশি জঙ্গল এবং মহল্লার চেয়ে বেশি মরুঅঞ্চল পছন্দ ছিল। বাল্যকাল থেকেই উনার ইবাদাত বন্দেগী ও বুযুর্গীর চর্চা দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়েছিল। পরবর্তীতে মাহবুবে ইলাহীর খলিফা আখি সিরাজউদ্দিন আইনায়ে হিন্দ (আলাইহির রাহমাহ) এর হাতে বায়াত গ্রহণ করে বুযুর্গীয়াতের উচ্চস্তরের মাকাম হাসিল করেন। বর্ণিত আছে যে, যখন
মাহবুবে ইলাহী (আলাইহির রাহমাহ), আখি সিরাজ আইনায়ে হিন্দ (আলাইহির রাহমাহ) কে বাংলারাজ্যে প্রেরণের নিয়ত করলেন তখন তিনি বললেন, হুজুর! সেখানে তাে আলাউল হক নামের এক ব্যক্তি বসবাস করে তার উপস্থিতিতে আমার কি প্রয়ােজন? তিনি বললেন যাও ভয় পেয়াে না, সে তােমার খাদেম হবে! মূলত তেমনই হয়েছিল। আর হযরত আলাউল হক্ব পান্ডুবী (আলাইহির রাহমাহ) থেকেই মাখদুম আশরাফ জাহাঙ্গীর সিমনানী (আলাইহির রাহমাহ) বায়াত ও খেলাফত হাসিল করেন। তিনি সিমনান হতে দুই বছর পীরের সন্ধান করতে করতে এস্থানে এসেই বায়াত হন। তিনি আপন পীরের দরবারে ১২ (বার) বছর খেদমত করেন এবং সেখান থেকেই উনার “ জাহাঙ্গীর” উপাধী লাভ হয়।
শায়েখ আলাউল হক্ব পান্ডুবী (আলাইহির রাহমাহ) এর পবিত্র মাজার শরীফ পশ্চিম
বাংলার মালদাহ্ শহর থেকে ১৬ কিলােমিটার দূরে মালদাহ্ ও আসাম
হাইওয়ে রােডের পাশে পান্ডুয়া নাম স্থানে অবস্থিত। উনার পবিত্র উরস
শরীফ ২৩,২৪,২৫ শে রজবুল মুরাজ্জাব পান্ডুয়া শরীফে পরিপূর্ণ রুহানী
নিজামের সাথে পালন করা হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন