তিনি মধ্য এশিয়ার “ ফারগানা" নামক শহরে, “ রােশ” নামক এলাকায় জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি বাগদাদ শরীফে পরিপূর্ণ শিক্ষা গ্রহণ করেন এবং সেখানেই উনার সাথে খাজা গরীবে নেওয়াজ (আলাইহির রাহমাহ) এর সাক্ষাত হয়।
এর কিছুদিন পরই উনি ভারতে আসেন এবং দিন-রাত আপন পীর ও মুরশীদের খেদমতে রত থাকতেন। তিনি শায়খের মারেফাতের নজরের দ্বারা হাকিকত ও মারেফাতের উচ্চ স্তর অর্জনের সৌভাগ্য অর্জন করেন। উনার মনােনিবেশ এত গভীর ছিল যে,
তিনি এক মুহুর্ত ও আল্লাহর খেয়াল থেকে অমােনযােগী হতেন না। যখন কোন আগ্রহী সাক্ষাতকারী উনার জিয়ারতে আসতেন তখন কয়েক ঘন্টা পর উনার অনুভুত হত যে, কেউ এসেছেন, অতঃপর কথা বলতেন। মহল্লার মধ্যে কোন ব্যক্তি ইন্তেকাল করলে কয়েকদিন পর উনি বুঝতে পারতেন। খাজা গরীবে নেওয়াজ উনাকে দিল্লী পাঠান, তখন সুলতান শামসুদ্দীন আলতামাসের আমল ছিল। সুলতান উনার মুরীদ ও উনার প্রতি প্রচন্ড ভালবাসা রাখতেন। খাজা কুতুবউদ্দিন (আলাইহির রাহমাহ) কে খাজা গরীবে নেওয়াজ ভাই, বন্ধু, মিত্র, সাথী, এবং শহীদ ও মুহিব্ব উপাধিতে ডাকতেন। উনি ৬৩৪ হিজরীতে মেহরুলী শরীফে ইন্তেকাল করেন। যা বর্তমানে নয়া দিল্লীর একটি মহল্লা হিসেবে পরিচিত। উনার উরস মােবারক প্রতি বছর ১২, ১৩, ১৪ ই রবিউল আউয়াল শরীফে পরিপূর্ণ ভক্তি ও আদবের সাথে পালন করা হয়।উনার লেখা অন্যতম একটি ছন্দ: খোদাকে আশিকো কো মাত সামাঝনা মুর্দা আমিনুদ্দীন, রাহেংগে কায়ামাত তাক্কে জিন্দা হযরত খাজা কুতুবউদ্দিন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন