মঙ্গলবার, ১০ নভেম্বর, ২০২০

গাদীরে খুমের ঘটনা এবং শিয়াদের ঈদের দিনঃ

যিলহজ্ব মাসের ১৮ তারিখ পথিমধ্যে ‘গাদীরে খুম’ নামক কুপের স্থানে বিশ্রামের জন্য নবী করীম [ﷺ] অবতরণ করেন। এখানে হযরত আলী (رضي الله عنه)-এঁর ফজিলত ও মর্তবা বয়ান করে তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দান করেন। সে ভাষণে নবী করীম [ﷺ] এরশাদ করেন, (نسائى) من كنت مولاه فعلى مولاه ـ اللهم وال من والاه و عا دمن عاداه

অর্থঃ আমি যার মুনিব বা মাওলা, হযরত আলীও তাঁর মাওলা। হে আল্লাহ যে ব্যক্তি হযরত আলীর সাথে বন্ধুত্ব রাখে, তুমিও তার সাথে বন্ধুত্ব রাখো এবং

মাহবুবে ইয়াযদানী (র.) এর উত্তরাধিকারী ও খান্দানে আশরাফীয়ার পরিচিতিঃ

হযরত মাহবুবে ইয়াযদানী শেখ সৈয়দ আশরাফ জাহাঙ্গীর সিমনানী (র.) এর পর তার উত্তরাধিকারের ধ্বজা হযরত আবদুর রাজ্জাক নুরুল আইন (র.) এর উপর বর্তায়। কেননা হযরত মাহবুবে ইয়াযদানী চিরকুমার ছিলেন বিধায় সন্তান সন্তুতির প্রশ্ন অবান্তর। তাই তাঁর রূহানী সন্তান হযরত আবদুর রাজ্জাক (র.) ই তাঁর ওফাতের পর তরিকতের দায়িত্বে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন এবং অবদুর রাজ্জাক নুরুল আইন (র.) এর বংশধরগণ আশরাফ জাহাঙ্গীর সিমনানী (র.) এর দিকে নিজেদের পরিচয়কে বিশেষিত করেন। ফলে তাঁরা ‘আশরাফি খান্দান

বেলায়তের উচ্চ স্থানঃ

মাহবুবে ইয়াযদানী, গাউসুল আলম হযরত সৈয়দ আশরাফ জাহাঙ্গীর সিমনানী (র.) বেলায়তের সর্বোচ্চ স্থান-গাউসিয়ত লাভ করেন। তাঁর এ উচ্চ রােতবা লাভ সম্পর্কে পূর্ববর্তী অনেক জগত বিখ্যাত অলির ভবিষ্যদ্বানীর কথা জানা যায়। যেমন হযরত খাজা কুতুবুদ্দিন বখতিয়ার কাকী (র.) দিল্লীর সুলতান শামসুদ্দিন আলতামাশ এর সময়ে হযরত মাহবুবে ইয়াযদানীর (রহ.) এর দাদা হযরত সৈয়দ শামসুদ্দিন মাহমুদ নুর বখশী (র.) দিল্লী ভ্রমণে আসলে হযরত বখতিয়ার কাকী (র.) তাকে বলেন, “আমি আপনাকে সুসংবাদ জানাই যে, আপনার

মাহবুবে ইয়াযদানীর বাদশাহী ত্যাগঃ

এতদসত্বেও তাঁর অন্তরে একজন জাহেরী মুর্শিদ লাভের তীব্র আকাংখা প্রশমিত হয়নি। এ আকাংখার তীব্রতা তাঁকে বাদশাহী কর্মকান্ডে সম্পূর্ণ উদাসীন করে ফেলে। তিনি অস্থিরতা অনুভব করতে লাগলেন। তখন তাঁর বয়স পঁচিশ পরিপূর্ণ হয়। তিনি রমজান মাসের শেষ দশ দিনে শবে কদরের আশায় রাত্রি জাগরণ করেছিলেন। এ অবস্থায় সাতাশের রাতে হযরত খিজির (আঃ) এর আগমণ ঘটে এবং হযরত সুলতান আশরাফ জাহাঙ্গীর সিমনানী (রাঃ) কে বাদশাহী সিংহাসন পরিত্যাগ করে হিন্দুস্থান

সিলসিলায়ে আশরাফীয়ার বর্তমান অবস্থানঃ

গাণিতিক হিসাব অনুসারে এই সিলসিলায়ে আশরাফীয়া প্রায় সাতশত বছর পূর্ব থেকে চলে আসছে। সকল সময়ে এলমে জাহের ও ইলমে বাতেনে ভরপুর মহান ব্যক্তিত্বের উপস্থিতি এই সিলসিলায় বিদ্যমান ছিল। বিশেষ করে মাহবুবে রাব্বানী আলা হযরত সৈয়দ আলী হােসাইন আশরাফী মিয়া ছিলেন তুলনাবিহীন। 

*মাহবুবে রাব্বানী আলা হযরত সৈয়দ আলী হােসাইন আশরাফী (রা.) জন্মঃ কুতুবে রাব্বানী, হাম শাবিহে গাউসে আযম জীলানী, আ’লা হযরত মাওলানা আলহাজ্ব সাইয়্যেদ শাহ্ আবু

সিলসিলায়ে আশরাফীর বংশ তালিকাঃ

* হযরত মুহাম্মদ মােস্তাফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কন্যা
* হযরত সাইয়্যিদা ফাতিমাতুজ জোহরা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা এর ছেলে, 
* হযরত সাইয়্যিদিনা ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম এর ছেলে,
* হযরত সাইয়্যিদিনা ইমাম জয়নুল আবেদীন রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এর ছেলে,
* হযরত সাইয়্যিদিনা ইমাম মােহাম্মদ বাকের রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এর ছেলে,
* হযরত সাইয়্যিদিনা ইমাম জাফর সাদেক রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এর ছেলে,

সিলসিলায়ে আশরাফীর বায়াতঃ

* তারিকুস সালতানাত, মাহবুবে ইয়াজদানী, গাউসুল আলম, শাহ সুলতান সৈয়দ মােহাম্মদ মীর আওহাদুদ্দীন মাখদুম আশরাফ জাহাঙ্গীর সিমনানী। (রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) তিনি খলিফা হলেন,

* হযরত শায়েখ আলাউল হক ওয়াদ্দিন গঞ্জেনাবাত পান্ডুবী (রাঃ) এর হাতে তিনি খলিফা হলেন,
* হযরত শায়েখ আখি সিরাজুল হক ওয়াদ্দীন ওসমান আইনায়ে হিন্দ (রাঃ) এর হাতে তিনি খলিফা হলেন,
* হযরত শায়েখ খাজা নিজামুদ্দীন আওলিয়া

আল্লাহতায়ালার বন্ধুদের শানে কোরআন শরীফ ও হাদীস শরীফের বাণীঃ

আলা ইন্না আউলিয়া আল্লা-হি লা-খাওফুন আলায়হিম ওয়ালাহুম ইয়াহ জানুন। (পারা -১১ সূরা ইউনুস, আয়াত- ৬২) অর্থ -(সাবধান !) শুনে নাও আল্লাহর ওলিগণের (বন্ধুদের ) না কোন ভয় আছে না কোন দুঃখ ।
ইন্না আউলিয়া আল্লাহি লা ইয়ামুতুন বাল ইয়ানতাকিলু মিন দারুল ফানা ইলা দারুল বাকা। (আল হাদীস)
অর্থ-নিশ্চয়ই আল্লাহর বন্ধুদের কোন মৃত্যু নেই বরং তারা স্থানান্তরিত হয় ধ্বংসশীল ইহ জগৎ হতে স্থায়ী পরজগতে।
আল আউলিয়াও রায়হানুল্লাহ-(আল হাদীস) অর্থ-

মােমিনের দৃষ্টি হতে ভয় করঃ

কারামতঃ হযরত গাউসুল আলম সৈয়দ আশরাফ জাহাঙ্গীর সিমনানীর (আলাইহির রাহমাহ) মজলিসে একজন নাস্তিক (দার্শনিক) এসে বসে পড়ল। তার চেহারা ও বেশ ভূষায় (পােষাক দ্বারা) একজন খাঁটি মুসলমান বুঝা যাচ্ছিল, মুহূর্তে হযরতের দৃষ্টি তার উপর পড়ল হযরত এরশাদ করলেন, “কেন তুমি বহুরুপি সেজেছাে , সুফীর দৃষ্টিতে তােমার সত্যতাকে গােপন করতে পারবে না । নাস্তিক ব্যক্তিটি মনে মনে খুবই লজ্জিত হয়ে তওবা করে নিল। হযরত পুনরায় এরশাদ করলেন, “আলহামদুলিল্লাহ” খােদা তােমাকে তাও নসীব করলেন। হযরতের কাশফ (অন্তর চক্ষু) দেখে আগত ব্যক্তিটি বিষ্মীত হয়ে উঠে হযরতের পবিত্র পায়ে উপুড় হয়ে পড়ল এবং বাইয়াত লাভে ধন্য হল ।

বিপথগামী মুরিদকে রক্ষা করেন মুর্শিদে করিমঃ

কারামত: সফরে বলখ হতে শেরওয়ান হয়ে হিরাতে এসে হযরত সৈয়দ মাখদুম আশরাফ জাহাঙ্গীর সিমনানী (আলাইহির রাহমাহ) কয়েকদিন অবস্থানের সিদ্ধান্ত নিলেন। একদিন গওহার আলী নামে হযরতের এক মুরিদ প্রয়োজনের কারণে হিরতের বাজারে গেলেন। সেখানে তিনি এক অসামান্য সুন্দরী যুবতীকে দেখতে পেয়ে তার প্রতি আসক্তি বােধ করলেন এবং যুবতীর সাথে আলাপের চেষ্টা করলেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই তার মধ্যে আল্লাহর ভয় জাগল ফলে তিনি তওবা ও আল্লাহর কাছে

মাহবুবে ইয়াজদানীর সংক্ষিপ্ত পরিচয়ঃ

তারিকুস সালতানাত, মাহবুবে ইয়াজদানী, গাউসুল আলম, শাহ সুলতান সৈয়দ মােহাম্মদ মীর আওহাদুদ্দীন মাখদুম আশরাফ জাহাঙ্গীর সিমনানী (রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) এর  সংক্ষিপ্ত প্রশংসাঃ
*গাউছুল আলমঃ বেলায়াতের উচ্চস্তর।
*মাহবুবে ইয়াজদানীঃ আল্লাহর ডাকা নাম।
*সুলতানঃ তিনি সিমনান রাজ্যের বাদশাহ ছিলেন।
*সৈয়দ আশরাফঃ তাঁর নাম।
*জাহাঙ্গীরঃ (অধিকাংশ সুফিয়ায়ে কেরাম তাহাকে তখনকার সময়ের কুতুব বলে ডাকত) এই উপাধি

সফরের উপকারিতাঃ

মসজিদে অবস্থান কালে একদিন কয়েকজন দরবেশ হযরত গাউসুল আলম সৈয়দ আশরাফ জাহাঙ্গীর সিমনানীর (আলাইহির রাহমাহ) সাথে সাক্ষাত করতে আসলেন। তারা জগতের অতীত ইতিহাস সম্বন্ধে হযরতকে জিজ্ঞাসা বাদ করলেন। হযরত উত্তর প্রদান করলেন। আলােচনা চলাকালে জনৈক একজন দরবেশ বললেন যে, (রিজক চু মেক দারাস্ত গার দিদান চিন্ত) অর্থ প্রত্যেকের জন্য রিজিক নির্দিষ্ট থাকার পর তা অর্জনের জন্য ঘুরতে ফিরতে হয়

ছামা মাহফিলের স্বাদঃ

মাশায়েখ কেরামের ইচ্ছায় উক্ত স্থানে মহফিলে ছামা অনুষ্ঠিত হল । তথাপি বহু লােকের সমাগমের কারণে মাহফিলে ছামায় তাদের মন সন্তুষ্ট লাভ হল না। তাই কয়েকজন সহকারে একটি নিদিষ্ট মাহফিল করা হল তাতেও স্বাদ পেলেন না। তখন হযরত গাউসুল আলম সৈয়দ আশরাফ জাহাঙ্গীর সিমনানী (আলাইহির রাহমাহ) এরশাদ করলেন, পীরও মূর্শিদের রওজা মােবারক ব্যতীত রূহানী ফয়েজ অন্য কোন স্থানে সম্ভব নয় যদি সেখানে মাহফিলে ছামা হয় তবে জজবী ও হাল অবশ্যই লাভ হবে। অবশেষে তারা সেখান হতে উঠে রওজা মােবারকে হাজির হলেন এবং মাহফিলে উপস্থিত সকলে জজবী হালত অবস্থা প্রকাশ হল আর উপস্থিত সকল ব্যক্তি হযরত সূলতানুল মূর্শিদীনের রূহানী ফয়েজ লাভে ধন্য হলেন।

শরিয়ত এবং তরিকতঃ

শরীয়ত ও তরীকতঃ একজন ব্যক্তি এসে বলল তরীকত শরীয়তের পূর্ববতী। হযরত গাউসুল আলম সৈয়দ আশরাফ জাহাঙ্গীর সিমনানী (আলাইহির রাহমাহ) এরশাদ করলেন, তুমি সুফীদের উপরে দোষারুপ করছ, তারা এমন কোন শব্দ ব্যবহার করেন নাই যা কিতাব ও সুন্নতে নাই। তরীকত প্রকৃত শরীয়ত আর শরীয়ত তরীকত হতে আলাদা নয়। তিনি আরও এরশাদ করেন, যে আচার ব্যবহারের শিক্ষাদীক্ষা আর কলবের পবিত্রকরণ ও রূহ সম্বন্ধে যা কিছু কোরআন পাকে উল্লেখযােগ্য, তা হতে মাশায়েখকেরাম তরীকতের মাসআলা উদঘাটন

হযরত আব্দুর রাজ্জাক নুরুল আইন (রাঃ) এর বিড়ালঃ

কারামাতঃ একদিন হযরত গাউসুল আলম সৈয়দ আশরাফ জাহাঙ্গীর সিমনানীর (আলাইহির রাহমাহ) এক বিশিষ্ট মুরীদ কাজী রফিউদ্দিন আওধী তার অন্তরে কল্পনা করতে লাগলেন বর্তমানে এখন কোন বেলায়েত প্রাপ্ত কি আছে যে, যিনি পশুর উপর যদি দৃষ্টিপাত করে তাহলে পশুর মধ্যে অলি আল্লাহর গুণ পরিলক্ষিত হবে। তার ভাবনাটা হযরতের নিকট পেশ ও করা হলাে। হযরত আব্দুর রাজ্জাক নুরুল আইন (রাঃ) এর একটি বিড়াল ছিল প্রায় সময় সেটা নিয়ে তিনি হযরতের দরবারে আসতেন। হযরত আদেশ করলেন নুরুল আইনের বিড়ালকে আমার নিকট

মাহবুবে ইয়াযদানীর অসুস্থ অবস্থাঃ

হযরত গাউসুল আলম সৈয়দ আশরাফ জাহাঙ্গীর সিমনানী (আলাইহির রাহমাহ) পবিত্র ঈদের পর মদিনা মােনাওয়ারায় রাসুলে মাকবুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) এর জেয়ারতের মনস্থ করলেন এবং মদিনা শরীফ গমন করেন। কিন্তু মদিনা শরীফ পৌছে তিনি কঠিন অসুস্থ হয়ে পড়লেন। সকলে অস্থির রইলেন। বিশ দিন পর্যন্ত এভাবে পড়ে থাকলেন। একুশতম রাতে ভােরের সময় আফতাবে রেসালাত (রেসালাতের সূর্য) তাজদ্বারে মদিনা সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম তার সম্মুখে দৃশ্যমান

জ্বলােচ্ছ্বাস বন্ধ হয় অলিগণের উছিলায়ঃ

কারামত : একদা হযরত গাউসুল আলম সৈয়দ আশরাফ জাহাঙ্গীর সিমনানী (আলাইহির রাহমাহ) সফর উপলক্ষে এক স্থানে উপনীত হন। এখানে প্রতি বছর সামুদ্রিক জলােচ্ছ্বাসের ফলে যথেষ্ট ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়। তাদের ফসলাদী  ধ্বংস হয়ে যায়। হযরত যখন সেখানে আসেন সে বছর জলােচ্ছাসে অন্যান্য সময়ের তুলনায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়। তাই হযরত এখানে এসে পৌছলে মুসলমান অধিবাসীগণ সকলে হযরতের কাছে দোয়ার জন্য অনুরােধ করতে লাগলেন। তাদের বারংবার অনুরােধের ফলে হযরত মাহবুবে ইয়াজদানীর অন্তরে তাদের জন্য দোয়া সঞ্চারিত হলাে। তিনি এক

আল্লাহর অলির সাথে পরিহাসের পরিণামঃ

কারামত : আল্লাহর অলির সাথে পরিহাসের পরিণামঃ জৌনপুর (যা বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি জেলা শহর) এর জামে মসজিদে অবস্থানকালে একদিন কিছু লােক একজন জীবিত মানুষ মৃত সাজিয়ে লাশের মত করে হযরত গাউসুল আলম সৈয়দ আশরাফ জাহাঙ্গীর সিমনানীর (আলাইহির রাহমাহ) সামনে এনে অনুরােধ করলাে জানাযার নামাজ পড়িয়ে দিতে। প্রকৃত পক্ষে ঐ লােকগুলি ভাঁড় প্রকৃতির এবং তারা হযরতের সাথে পরিহাসের উদ্দেশ্যে জীবিত লােককে লাশ সাজিয়ে এনেছে। তাদের সিদ্ধান্ত হযরত যখন নামাজে

জাহাঙ্গীর উপাধী লাভঃ

হযরত আলাউল হক পান্ডুবী (রহঃ) এর ইচ্ছা হলাে স্বীয় মুরিদ হযরত গাউসুল আলম সৈয়দ আশরাফ জাহাঙ্গীর সিমনানী (আলাইহির রাহমাহ) কে কোন উপাধী দেওয়ার এ ইচ্ছায় তিনি “গায়ব” হতে নির্দেশ লাভের অপেক্ষা করতে লাগলেন। শবে বরাতে তিনি অজিফা, তাসবিহ, জিকিরে নিয়ােজিত হন, সারা রাত তাসবিহ, তাহলিল ও মােরাকাবা, মােশাহাদায় ছােবহে সাদেক হয়ে গেল এমতাবস্থায় “গায়ব” থেকে আওয়াজ ধ্বনিত হলাে জাহাঙ্গীর! জাহাঙ্গীর! এ আওয়াজ শুনে তিনি বলে উঠলেন, আলহামদু লিল্লাহ প্রীয় বৎস আশরাফ এ উপাধিতে ভূষিত

জাহাঙ্গীর এবং জানগীর ঃ

জাহাঙ্গীর এবং জানগীর (বাদশাহ এবং জানকবজকারী)ঃ একবার খানকাহ শরীফে একজন ফকীর আসলেন যার নাম আলী কলন্দর ছিল উপস্থিত অনেকেই ছিল সকলের সামনেই হযরত গাউসুল আলম সৈয়দ আশরাফ জাহাঙ্গীর সিমনানী (আলাইহির রাহমাহ) কে জিজ্ঞাসা করলেন হুজুর আপনাকে জাহাঙ্গীর (বাদশাহ) কেন বলা হয়। হযরত বললেন যে,আমার পীর ও মুর্শিদ আমাকে জাহাঙ্গীর বলিয়াছেন সেটা আমার পীর ও মুর্শিদের খেতাব (উপাধি) তিনি নিজে আমাকে জাহাঙ্গীর বলার কারনে সকলেই আমাকে জাহাঙ্গীর বলে থাকে। আলী কলন্দর বললেন আপনি যে জাহাঙ্গীর তার দলীল কি? সাথে সাথেই হযরতের জালালী ভাব এসে যায় হযরত বললেন ম্যায় জাহাঙ্গীর ভী হু। আওর জানগীর ভী” অর্থাৎ বাদশাহ এবং রূহ কবজকারী। তৎক্ষনাৎ আলী কলন্দর জমীনে লুটে পড়ে গেল এবং তার রূহ কবজ হয়ে গেল।  

হযরত গাউসুল আলম সৈয়দ আশরাফ জাহাঙ্গীর সিমনানী (আলাইহির রাহমাহ) এর সংক্ষিপ্ত কারামতঃ

*কারামতঃ মরণাপন্ন বালককে নতুন জীবন দানঃ দামেশকে মাহবুবে ইয়াজদানী হযরত গাউসুল আলম সৈয়দ আশরাফ জাহাঙ্গীর সিমনানী (আলাইহির রাহমাহ) অবস্থানরত ছিলেন। বেশ কিছুদিন যাবৎ বিভিন্ন ঘটনায় তার বহু কারামত এখানে প্রকাশিত হয়। যার ফলে সর্বত্র তার কথা ছড়িয়ে পড়ে। লােকজন তার শরাফত, জ্ঞানের গভীরতা, বেলায়তের উচ্চ মর্তব্য সম্পর্কে অবহিত হয়ে তাঁর সান্নিধ্যে এসে ধন্য হতে থাকে। একদিন তিনি দামেশকের জামে মসজিদ চত্বরে বসা ছিলেন। এমন সময় আলুথালু বেশে একজন অসামান্য সুন্দরী যুবতী বার বছরের কিশাের সন্তান নিয়ে হযরতের

হযরত গাউসুল আলম সৈয়দ আশরাফ জাহাঙ্গীর সিমনানী (আলাইহির রাহমাহ) এর সংক্ষিপ্ত জীবণীর পরিচয়ঃ

জন্মঃ তিনি আনুমানিক ৭০৯ হিজরী বা ৭১২ হিজরী এর মধ্যবর্তী সময় তাহার জন্ম। যেই দিন তিনি জন্ম গ্রহণ করেন সেই দিন ইব্রাহীম মঞ্জুব দুইবার অন্দর মহলে আসেন এবং বলেন ছেলেকে অত্যন্ত সাবধানে লালন পালন করিও সেবক আমানত যা আল্লাহ তায়ালা তােমাদেরকে দান করিয়াছেন। সুলতান হুজুর নবী করীম (দঃ) এর আদেশক্রমে আগত জনের নাম আশরাফ রাখলেন। কেননা অত্যন্ত আবেদন বিনয় নিবেদনের বিনিময়ে শুভ সংবাদে তাহার জন্ম হয়েছিল। সেই জন্যেই তাহার ছােটকাল থেকেই আল্লাহর নিদর্শন প্রকাশ পাইতে থাকে।
*বিদ্যা অর্জনঃ যখন তাহার চার বৎসর চার মাস চার দিন হলাে তখনই তাহাকে বিসমিল্লাহ শরীফ

খাজায়ে খাজেগাঁ খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতী আজমেরী (আলাইহির রাহমাহ) এর সংক্ষিপ্ত জীবণীঃ

উনাকে সারওয়ারে কায়েনাত, তাজেদারে মদীনা, রাহাতে ক্বালবওসীনা শাহ হযরত মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ভারতবর্ষে বেলায়াত প্রদান করে পাঠান। এজন্যই উনাকে নায়েবুন্নাবী, আতাউন্নাবী, আতায়ে রাসূল এবং সূলতানুল হিন্দ বলা হয়ে থাকে। গরীব ও অসহায়দের সাহায্য করা উনার অনেক প্রিয় কাজ ছিল একারণে উনাকে“ গরীব নেওয়াজ " ও বলা হয়। তিনি আপন পীর ও মুরশীদ খাজায়ে খাজেগা খাজা ওসমান হারুনী(আলাইহির রাহমাহ) এর একাধারে ২০ বছর খেদমত করেন এবং হাক্বীকাত ও মারেফাতের গুপ্ত রহস্যের ভান্ডার হাসিল করেন। উনার পীর ও মুরশীদ উনাকে খিলাফাত দেয়ার পর বলেন,“ যাও আমি

খাজা কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকী (আলাইহির রাহমাহ) এর সংক্ষিপ্ত জীবণীঃ

তিনি মধ্য এশিয়ার “ ফারগানা" নামক শহরে, “ রােশ” নামক এলাকায় জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি বাগদাদ শরীফে পরিপূর্ণ শিক্ষা গ্রহণ করেন এবং সেখানেই উনার সাথে খাজা গরীবে নেওয়াজ (আলাইহির রাহমাহ) এর সাক্ষাত হয়।

এর কিছুদিন পরই উনি ভারতে আসেন এবং দিন-রাত আপন পীর ও মুরশীদের খেদমতে রত থাকতেন। তিনি শায়খের মারেফাতের নজরের দ্বারা হাকিকত ও মারেফাতের উচ্চ স্তর অর্জনের সৌভাগ্য অর্জন করেন। উনার মনােনিবেশ এত গভীর ছিল যে,

খাজা ফরিদউদ্দিন মাসউদ গঞ্জেশকর (আলাইহির রাহমাহ) এর সংক্ষিপ্ত জীবণীঃ

উনার প্রকৃত নাম মাসউদ। তিনি ৫৬৯ হিজরীতে জন্মগ্রহন করেন। বাল্যকাল থেকে আল্লাহ্ তায়ালা উনার মাঝে ফকিরী ও দ্বীনের প্রচার ও প্রসারের জযবা দান করেন। তিনি খাজা কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকী (আলাইহির রাহমাহ) এর নিকট বায়াত গ্রহণ করেন এবং মারেফাতের সর্বোচ্চ স্তরে উন্নতি সাধন করেন। খাজা কুতুবউদ্দিন (আলাইহির রাহমাহ) উনাকে বায়াত করানাের পূর্বে একাধারে তিনদিন রােজা রাখার হুকুম দেন। ৩য় দিন এক ব্যক্তি কিছু রুটি হাদিয়া দিলেন, রুটি খাওয়ার সাথে সাথে উনার হাজত ধরে এবং যা কিছু মুখে

সুলতানুল মাশায়েখ মাহবুবে ইলাহী সৈয়্যদ খাজা নিজামউদ্দিন আউলিয়া (আলাইহির রাহমাহ) এর সংক্ষিপ্ত জীবণীঃ

উনার পূর্বপুরুষগণ বােখারার অধিবাসী ছিলেন। উনারা লাহাের হতে বাদায়ুন তাশরিফ নিয়ে আসেন। তিনি বাদায়ুনেই ৬৩৪ হিজরিতে জন্মগ্রহণ করেন। সেখানেই শিক্ষাগ্রহণ করেন এবং ১৬ (ষােল) বছর বয়সে দিল্লী তাশরিফ নিয়ে আসেন। সেখানে তিনি তালকিন ও শিক্ষাদানের মধ্যে ব্যস্ত থাকতেন। অতঃপর তিনি পাক-পাটান শরীফ তাশরিফ নিয়ে আসেন এবং হযরত খাজা ফরিদউদ্দীন গঞ্জেশকর (আলাইহির রাহমাহ) এর নিকট বায়াত গ্রহণ করেন।

মারেফাত ও তাছাউফের সমস্ত ধাপ পরিপূর্ণ করার পর

শায়েখ আখি সিরাজউদ্দিন আইনায়ে হিন্দ (আলাইহির রাহমাহ) এর সংক্ষিপ্ত জীবণীঃ

উনার প্রকৃত নাম উসমান। তিনি অযোদ্ধার বাসিন্দা ছিলেন এ কারনে উনাকে আওধী ও বলা হয়। তিনি মাহবুবে ইলাহী (আলাইহির রাহমাহ) এর নিকট মুরীদ হন এবং খেলাফত অর্জন করেন। মাহবুবে ইলাহী উনাকে আখি সিরাজউদ্দিন বলে ডাকতেন। তিনি আপন শায়খের হুকুমে বাংলা রাজ্যে এসে রুশদ্ ও হেদায়াতের প্রদীপ প্রজ্জলিত করেন। উনার পবিত্র সত্ত্বা হতে পুরাে ভারতবর্ষে হেদায়াতের আলাে পৌছে যায়। হযরত মাহবুবে ইলাহীর সমস্ত

সোমবার, ৯ নভেম্বর, ২০২০

সুলতানুল আরেফীন আলাউল হক পান্ডুবী (আলাইহির রাহমাহ) এর সংক্ষিপ্ত জীবণীঃ

তিনি শাহী খানদানের অধিকারী ছিলেন কিন্তু ছােট থেকেই ফকির ও রবেশদের সাথে প্রচন্ড ভালবাসা রাখতেন। ঘরে কোন জিনিসের কমতি ছিল না কিন্তু উনার মানব সমাজের চেয়ে বেশি জঙ্গল এবং মহল্লার চেয়ে বেশি মরুঅঞ্চল পছন্দ ছিল। বাল্যকাল থেকেই উনার ইবাদাত বন্দেগী ও বুযুর্গীর চর্চা দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়েছিল। পরবর্তীতে মাহবুবে ইলাহীর খলিফা আখি সিরাজউদ্দিন আইনায়ে হিন্দ (আলাইহির রাহমাহ) এর হাতে বায়াত গ্রহণ করে বুযুর্গীয়াতের উচ্চস্তরের মাকাম হাসিল করেন। বর্ণিত আছে যে, যখন 

আশরাফে সিমনানী (আলাইহির রাহমাহ) থেকে খাজায়ে আজমেরী (আলাইহির রাহমাহ) পর্যন্তঃ

সিলসিলায়ে চিশতিয়ায় মাখদুম আশরাফ জাহাঙ্গীর সিমনানী (আলাইহির রাহমাহ) মাত্র

৫ (পাচ) জন মুর্শীদে কামেলের মাধ্যমে খাজা গরীবে নাওয়াজ (অলাহির রাহমাহ)

পর্যন্ত পৌছান। তিনি শায়েখ আলাউল হক্ব পান্ডুবী (আলাইহির রাহমাহ) থেকে ইজাযত

ও খিলাফত অর্জন করেন। উনি আখি সিরাজুদ্দীন আইনায়ে হিন্দ (আলাইহির রাহমাহ)

থেকে উনি মাহবুবে ইলাহী খাজা নিযামুদ্দীন আউলিয়া (আলাইহির রাহমাহ) থেকে উনি

খাজা ফরিদউদ্দিন গঞ্জেশকর (আলাইহির রাহমাহ) থেকে উনি খাজা কুতুবউদ্দিন

বখতিয়ার কাকী (অালাইহির রাহমাহ) থেকে এবং উনি সুলতানুল হিন্দ আতায়ে রাসূল,

খাজায়ে খাজেগাঁ, হযরত খাজা গরীব নেওয়াজ সৈয়্যদ মঈনউদ্দিন চিশতী

সাঞ্জেরী আজমেরী (আলাইহির রাহমাহ) থেকে ইজাযত ও খিলাফত অর্জন করেন।

Featured post

Hazrat Noorul Aen Ki Shadi, Aulad Aur Sajjadanashin Janashine Makhdoom Ashraf

  Jab Syed Ashraf Jahangir Simnani (R.A) Syed Abdur Razzaq Noorul Ain (R.A) ki Zahir o Batini Tarbiyat farma chuke aur unhain uloom o funoon...