শিয়া ফেরকার ইতিহাস ও বর্ণনাঃ
বর্তমান শিয়া-রাফেযিরা মুসলিম উম্মার ত্রাতা বনেছে, যাদের ধর্ম আহলে বায়তের কথিত মহব্বতে সীমালঙ্ঘন করা, কুরআনুল কারিমে বিকৃতিতে বিশ্বাস করা, সাহাবিদের অভিসম্পাত করা, উম্মুল মোমেনিনদের উপর অপবাদ আরোপ করা, রাত-দিন সাহাবিদের থেকে সম্পর্কহীনতার ঘোষণা দেওয়া ও মুসলিম জাতির সাথে প্রতারণা করা। তারা আজও ‘হিযবুল্লাহ’ ও তার মিথ্যা শ্লোগানের আড়ালে মুসলিমদের গালমন্দ করে বিশ্বসভাকে জানান দিচ্ছে যে, তারাই মুসলিম উম্মার ত্রাতা ও অভিভাবক।শিয়াঃ শিয়া ফেরকাটি বিভিন্ন নামে পরিচিত। যেমন ইহাকে রাফেজী, গালিয়াহ শিয়াহ প্রভৃতি নামে উল্লেখ করা হয়। ইহাদেরকে শিয়া বলার কারণ হইল, ইহারা হযরত মাওলা আলী শেরে খোদা (রাঃ)-এর অনুবর্তীতার দাবী করে এবং তাঁহাকে সমগ্র সাহাবাদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা উত্তম এবং শ্রেষ্ঠ বলিয়া মনে করে। ইহাদেরকে রাফেজী বলার কারণ এই যে, ইহারা অধিকাংশ সাহাবাকেই পরিত্যাগ করিয়াছে এবং হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) ও হযরত ওমর ফারুক (রাঃ) ও হযরত উসমান জুন্নুরাইন (রাঃ) এর খেলাফতকে অস্বীকার করিয়াছে। কেহ কেহ রাফেজী নামকরণের কারণ এইরূপ বলে যে, যখন হযরত জয়নুল আবেদীন (রাঃ) এর মুখ হইতে হযরত আবু বকর (রাঃ) এবং হযরত ওমর (রাঃ)-এর প্রতি সম্প্রীতিমূলক উক্তি প্রকাশ পাইল, তখন উহারা হযরত জয়নুল আবেদীনের (রাঃ) সঙ্গে এবং আনুগত্য পরিত্যাগ করিল।
হযরত জয়নুল আবেদীন (রাঃ) বলিলেন যে ইহারা আমাকে ছাড়িয়া গেল। এই কারণে উহাদিগকে রাফেজী বলা হয়। কেহ কেহ এইরূপও বলেন যে, শিয়া তাহারাই যাহারা হযরত ওসমান(রাঃ)-এর উপর হযরত আলীকে (রাঃ) প্রধান্য দেয়। অর্থাৎ শিয়া বা রাফেজী সম্প্রদায়ের লােকেরা হযরত আলী (রাঃ) কে হযরত ওসমান (রাঃ) অপেক্ষা আফজাল ও শ্রেষ্ঠ মনে করে। শিয়াদের একটি শাখার নাম ক্বাতিয়্যাহ এবং অন্য আর এক শাখার নাম গালিয়্যাহ। এই শাখার লােকেরা হযরত আলী (রাঃ) সম্পর্কে অনেক অতিশয়ােক্তি করিয়া থাকে এবং বহু ধরনের অশােভন কথাবার্তা বলে ও মত পােষণ করে। তাহাদের মতে হযরত আলী (রাঃ) এর ভিতরে প্রভুত্ব এবং নবুয়তের অংশ বিদ্যমান। হুজুর গাউসে আজম হযরত শায়খ আব্দুল কাদির জিলানী রহঃ উনার গুনিয়াতুত তালেবিন কিতাবে শিয়াদের ৩৩ টি জাত বা দলের কথা উল্লেখ করেছেন এবং এই ৩৩টি জাত বা দলের শিয়ারা সকলেই পথভ্রষ্ট ও গুমরাহ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন