উম্মাহাতুল মু'মিনীন এবং আহলে বাইতের ফজীলতঃ
আমরা মুসলমান সমস্ত উম্মাহাতুল মু'মিনীনের প্রতি অত্যন্ত উচ্চ এবং নেক ধারণা পােষণ করি।হুযুরে পাক (صلى الله عليه وسلم)-এর সেই পবিত্র বিবিদের সম্পর্কে আমাদের সকলের আকীদা ও দৃঢ় বিশ্বাস এই যে, তাঁহারা সকলেই আমাদের মুমিন মুসলমানদের কাছে মাতৃস্থানীয় ও অতিশয় সম্মানের পাত্রী তাঁহাদের অন্যতম হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাঃ)। দুনিয়ার সমস্ত নারীদের মধ্যে নেত্রীস্থানিয় মহিলা তিনি। হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ)-এর পবিত্রতা ও পাকদামানীর ব্যাপারে স্বয়ং আল্লাহতায়ালা স্বীয় পবিত্র কোরআনে (সূরা নূর) সাক্ষ্য প্রদান করিয়াছেন।
উম্মাহাতুল মোমেনীন ও আহলে বাইত এর শানে মুজাদ্দিদে দিনো মিল্লাত আলা হযরত ইমাম আহমদ রেজা খান বেরেলী (রহঃ) বলেনঃ তেরী নসলে পাক মে হ্যায় বাচ্চা বাচ্চা নূর কা, ইয়া রাসুলুল্লাহ তু হ্যায় আইনে নূর তেরা সব ঘড়ানা নূর কা।অর্থাৎ ইয়া রাসুলুল্লাহ (صلى الله عليه وسلم) আপনিও নূর এবং আপনার ঘরের স্ত্রী ও সন্তান সন্তুতী সকলেই নূরের।
একইভাবে আমরা হুযুরে পাক (صلى الله عليه وسلم) এর আহলে বাইতের অন্যান্য সকলের সম্পর্কেও পরম ভক্তি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করিতেছি। হুযুর পাক (صلى الله عليه وسلم) এর প্রিয় কনিষ্ঠ কন্যা মা খাতুনে জান্নাত হযরত ফাতেমা (রাঃ) দুনিয়ার সমস্ত নারীদিগের সর্দাররূপে গণ্য। যিনি হইবেন বেহেশতবাসিনী রমণীদিগের রাণী। আল্লাহ তাহার উপর, তাঁহার স্বামী ও সন্তান-সন্ততিগণের উপরও দরুদো সালাম ও সন্তুষ্ট থাকুন। আমাদের উপর তাহার পিতা হযরত মুহাম্মদ (صلى الله عليه وسلم) এর প্রতি মােহাব্বত রাখা যেমনি ওয়াজিব, একইভাবে আমাদের তাঁহার প্রতিও মােহব্বত রাখা ওয়াজিব। হুযুরে পাক (صلى الله عليه وسلم) বলেন, ফাতিমা আমার দেহের (কলিজার টুকরা) যে তাঁহাকে কষ্ট দিল, সে যেন আমাকেই কষ্ট দিল।
[সংকলঃ হুজুর গাউসে আজম হযরত শায়খ আব্দুল কাদির জিলানী রহঃ এর লেখা বিখ্যাত কিতাব গুনিয়াতুত তালেবিন।]
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন