--------আহলে সুন্নত অল জামাতের পায়রবিঃ----
জ্ঞানবান ও বিচক্ষণ মুমিনদের জন্য উত্তম, আহলে সুন্নত অল জামাতের অনুবর্তী হওয়া এবং বেদায়াত হইতে বাচিয়া থাকা। দ্বীনের ভিতরে বেশী প্রশ্ন করা ও অধিক ভিতরে প্রবেশ করার চেষ্টা করা চাই তাহা হইলেই গােমরাহী হইতে বাঁচা যাইবে এবং পদস্খলনের ভয় থাকিবে না। উহা ধ্বংস প্রাপ্তির ও কারণ বটে। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন, তােমরা সুন্নাতের অনুবর্তী হও এবং বেদায়াত হইতে বাঁচিয়া থাক। তােমাদের জন্য ইহাই যথেষ্ট। হযরত মুআয ইবনে জাবাল (রাঃ) বলেন, তােমরা গােপন বিষয়ের অনুসন্ধান হইতে বিরত থাক। আর এই কথা বলিও না যে, এইরূপ কেন হইল? মুজাহিদ (রাঃ) যখন হযরত মুআয ইবনে জাবাল (রাঃ) এর এই উক্তিটির কথা শুনিলেন, তখন তিনি বলিলেন, প্রথম দিকে আমরা কোন কোন বিষয়ের হুকুম সম্পর্কে বলিতাম, এ কেমন হুকুম? কিন্তু এখন আর এরূপ বলি না। কেননা ঈমানদার লােকের কর্তব্য হইল সুন্নতের অনুবর্তিতা ও জামাতের পায়রবি। সুন্নাত ঐ তরীকাকে বলে, যাহা হুযুরে পাক (صلى الله عليه وسلم) শুরু করিয়াছেন এবং উহার উপর বহাল রহিয়াছেন। আর জামাত উহাকে বলে, খােলাফায়ে রাশেদীনের প্রত্যেকের যমানায় সমস্ত সাহাবায়ে কেরাম যাহার উপর একমত পােষণ করিয়াছেন।বেদয়াতীদের হইতে সরিয়া থাকাঃ জ্ঞানী মুমিনদের কর্তব্য হইল বেদয়াতীদের সাথে সম্পর্ক না রাখা এবং তাহাদের সাথে আত্মীয়তা ও মােহব্বত না করা। ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহঃ) বলেন, যে ব্যক্তি কোন বেদয়াতীকে সালাম করিল, সে যেন তাহার সহিত ভালবাসা স্থাপন করিল। (কেননা হুযুরে পাক (صلى الله عليه وسلم) এরশাদ করিয়াছেন, তােমরা পরস্পরে বেশী করিয়া সালাম আদান প্রদান কর, তাহাতে ভালবাসা বৃদ্ধি পাইবে।) জ্ঞানী মুমিনদের ইহাও উচিত যে, তাহারা যেন বেদয়াতীদের সাথে উঠাবসা না করে।
ইমাম এবং হাকীমদের পায়রবীঃ
আহলে সুন্নত অল জামাতের সব লােক ইহাতে একমত যে, মুসলমান ইমাম এবং তাঁহাদের
অনুসারীদের নির্দেশ শুনা ও পালন করা সকলের প্রতি ওয়াজিব। আর নেককার বা গুনাহগার ন্যায়পরায়ণ বাদশাহ বা তাহাদের মনােনীত লােকের পিছনে নামায আদায় করা জায়েয হইবে। আহলে সুন্নাত অল জামাতের মতে কোন নামাযী নেককার বা গুনাহগার হউক, তাহার বেহেশতী বা দোজখী হওয়া সম্পর্কে কোন একীনী মন্তব্য করা চাই না। আহলে সুন্নত অল জামায়াত এই ক্ষেত্রেও একমত যে, নবী-রাসূলদের মাে’জেযাহ ও আউলিয়াদের কারামত বরহক। (সুতরাং উহা বিশ্বাস এবং স্বীকার করা কর্তব্য)। কোন দ্রব্যের মূল্যের ঊর্ধ্বগতি আল্লাহর তরফ হইতে হয়। ইহাতে আকাশের কোন তারকা কিংবা রাজ্যের বাদশাহর কোন দখল নাই। হযরত আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) বলেন, হুযুরে পাক (صلى الله عليه وسلم) এরশাদ করিয়াছেন যে, নিঃসন্দেহে উর্ধ্বমূল্য ও নিম্নমূল্য আল্লাহরই দুইটি ইচ্ছাস্বরূপ। আল্লাহর যখন কোন দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি করার ইচ্ছা হয় তখন তিনি ব্যবসায়ীদের মনে লালসা বাড়াইয়া দেন। তাহারা দ্রব্যের ঘাটতি দেখাইয়া উহার মূল্য বৃদ্ধি করে। আবার আল্লাহর যখন কোন দ্রব্যের মূল্য কমাইবার ইচ্ছা হয়, তখন তিনি ব্যবসায়ীদের মনে খােদাভীতির সৃষ্টি করিয়া দেন, আর তখন তাহারা ঐ দ্রব্য বাজারে ছাড়িয়া দিয়া উহার মূল্য কমাইয়া দেয়।
আহলে সুন্নত অল জামাতের সব লােক ইহাতে একমত যে, মুসলমান ইমাম এবং তাঁহাদের
অনুসারীদের নির্দেশ শুনা ও পালন করা সকলের প্রতি ওয়াজিব। আর নেককার বা গুনাহগার ন্যায়পরায়ণ বাদশাহ বা তাহাদের মনােনীত লােকের পিছনে নামায আদায় করা জায়েয হইবে। আহলে সুন্নাত অল জামাতের মতে কোন নামাযী নেককার বা গুনাহগার হউক, তাহার বেহেশতী বা দোজখী হওয়া সম্পর্কে কোন একীনী মন্তব্য করা চাই না। আহলে সুন্নত অল জামায়াত এই ক্ষেত্রেও একমত যে, নবী-রাসূলদের মাে’জেযাহ ও আউলিয়াদের কারামত বরহক। (সুতরাং উহা বিশ্বাস এবং স্বীকার করা কর্তব্য)। কোন দ্রব্যের মূল্যের ঊর্ধ্বগতি আল্লাহর তরফ হইতে হয়। ইহাতে আকাশের কোন তারকা কিংবা রাজ্যের বাদশাহর কোন দখল নাই। হযরত আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) বলেন, হুযুরে পাক (صلى الله عليه وسلم) এরশাদ করিয়াছেন যে, নিঃসন্দেহে উর্ধ্বমূল্য ও নিম্নমূল্য আল্লাহরই দুইটি ইচ্ছাস্বরূপ। আল্লাহর যখন কোন দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি করার ইচ্ছা হয় তখন তিনি ব্যবসায়ীদের মনে লালসা বাড়াইয়া দেন। তাহারা দ্রব্যের ঘাটতি দেখাইয়া উহার মূল্য বৃদ্ধি করে। আবার আল্লাহর যখন কোন দ্রব্যের মূল্য কমাইবার ইচ্ছা হয়, তখন তিনি ব্যবসায়ীদের মনে খােদাভীতির সৃষ্টি করিয়া দেন, আর তখন তাহারা ঐ দ্রব্য বাজারে ছাড়িয়া দিয়া উহার মূল্য কমাইয়া দেয়।
[সংকলঃ হুজুর গাউসে আজম হযরত শায়খ আব্দুল কাদির জিলানী রহঃ এর লেখা বিখ্যাত কিতাব গুনিয়াতুত তালেবিন।]
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন