ইসলামের ইতিহাসে কোরআন ও হাদীস চর্চার সর্বপ্রথম কোন প্রাতিষ্ঠানিক রূপ যদি বলতে হয়, তবে তা মসজিদে নববী ছিল। যা নবীজি নিজ হাতে প্রতিষ্ঠা করেন। এখান থেকেই সাহাবায়ে কেরাম কোরআন ও হাদীসের জ্ঞানে পরিপূর্ণ হয়ে ইসলামের দাওয়াত নিয়ে সমগ্র দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েন। কালের বিশাল পরিক্রমায় ইসলামের রূপ যখন দুনিয়ায় পরিপূর্ণ বিকশিত হয়ে গিয়েছিল, তখন কোন মুসলিম শিশু যেন নিয়ম তান্ত্রিকভাবে ধারাবাহিকতার সাথে একজন প্রকৃত ইসলামি আলেম হতে পারে সেই উদ্দেশ্যে ৪৫০ হিজরীর পরবর্তী সময়ে নিশাপুরে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘মাদরাসায়ে নিযামিয়া' যার শিক্ষা কার্যক্রমের সিলেবাস ধারাকে ‘দারসে নিযামিয়া' বলা হয়। উক্ত মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন হযরত হাসান ইবনে আলী ওরফে নিযামুল মালিক (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি)। প্রথম শিক্ষক ছিলেন ইমাম আব্দুল মালেক জিয়াউদ্দীন ওরফে ইমামুল হারামাইন (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি)। এ মাদরাসার প্রথম শ্রেষ্ঠতম ছাত্র ছিলেন ইমাম মুহাম্মদ গাজ্জালী (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি)। পরবর্তীকালে এ মাদরাসার শ্রেষ্ঠতম ছাত্র হন গাউসুল আযম বড়পীর আব্দুল কাদের জিলানী (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি)। এ শিক্ষা ব্যবস্থা শুধুমাত্র নিশাপুরেই সীমাবদ্ধ ছিল না বরং ভারতবর্ষসহ সমগ্র দুনিয়াতেই ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে এ শিক্ষা ব্যবস্থা যখন প্রায় বিলুপ্তির পথে ছিল, তখন হুজুর শায়খে আজম সৈয়্যদ ইজহার আশরাফ আশরাফী আল জিলানী (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) ঢাকার আশুলিয়ায় ‘দারসে নিযামিয়া' ভিত্তিক মাদরাসা ‘আল-জামেয়াতুল আশরাফীয়া ইজহারুল উলুম’ প্রতিষ্ঠা করেন।
* হুজুর শায়খে আজম সৈয়্যদ ইজহার আশরাফ আশরাফী আল জিলানী (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন- “আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের প্রচার একমাত্র ‘দারসে নিযামিয়া' শিক্ষা ব্যবস্থার দ্বারাই সম্ভব।
* হুজুর ক্বায়েদে মিল্লাত আলহাজ্ব সৈয়্যদ শাহ মুহাম্মদ মাহমুদ আশরাফ আশরাফী আল জিলানী মাদ্দাজিল্লাহুল আলী বলেন- ‘বাতিল ফেরকার মােকাবেলার জন্য একমাত্র ‘দারসে নিযামিয়া শিক্ষাব্যবস্থাই পারে সত্যিকার আলেম তৈরী করতে।
তাই প্রত্যেক সুন্নী নাগরিকের উচিৎ এ প্রক্রিয়ায় আপন সন্তানদের আলেম বানানাে, যেন ভবিষ্যত প্রজন্ম ইসলামের শত্রুদের হাত থেকে আশ্রয় পায়।'

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন