হুযুরে পাক (صلى الله عليه وسلم) এর উম্মতের ফজীলতঃ (খুবই গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট এটা সকলকে জেনে রাখা উচিত)
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আকীদা হইল, হুযুরে পাক (صلى الله عليه وسلم) এর উম্মত অন্যান্য সব উম্মত অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ এবং হুযুর (صلى الله عليه وسلم) এর জামানার লােকগণ তামাম জামানার লােকদের অপেক্ষা উত্তম-যাহারা হুযুর (صلى الله عليه وسلم) কে সচক্ষে দেখিয়াছে, তাহার উপর আস্থা-স্থাপন করিয়াছে, তাহার আনুগত্য স্বীকার করিয়াছে,জিহাদ করিয়াছে, স্বীয় জান মাল আল্লাহর পথে উৎসর্গ করিয়াছে। তাহাদের মধ্যে আবার হুদায়বিয়ার সন্ধিতে শরীকদারগণ অন্যত্তম, যাহারা একটি বৃক্ষতলে বসিয়া হুযুরে পাক (صلى الله عليه وسلم)-এর হাতে হাত রাখিয়া বাইয়াত করিয়াছেন। ছােলেহ হােদায়বিয়ায় শরীক দলের লােকসংখ্যা ছিল এক হাজার চারশত। আর ইহাদের মধ্যে বদরের মুজাহিদগণ সর্বাধিক উত্তম, যাহাদের সংখ্যা ছিল মােট তিনশত তেরজন।পবিত্র কোরআন কারীমে আল্লাহপাক এরশাদ করেনঃ তোমাদের মধ্যে সমান নয় ওই সব লোক, যারা মক্কা বিজয়ের পূর্বে ব্যয় ও জিহাদ করেছে; তারা মর্যাদায় ওই সব লোক অপেক্ষা বড়,যারা বিজয়ের পর ব্যয় ও জিহাদ করেছে এবং তাদের সবার সাথে আল্লাহ্ জান্নাতের ওয়াদা করেছেন এবং আল্লাহ্ তোমাদের কৃত কর্মগুলো সম্পর্কে অবহিত আছেন।(সুরা আল-হাদিদঃ১০)
ওই দরিদ্র হিজরতকারীদের জন্য(এ সম্পদ) যাদেরকে আপন ঘরবাড়ি ও সম্পদ থেকে উৎখাত করা হয়েছে। তারা আল্লাহ্র অনুগ্রহ ও তাঁর সন্তুষ্টি চায় এবং আল্লাহ্ ও রসূলের সাহায্য করে। তারাই সত্যবাদী।(সুরা হাশর-০৮)
--------------আশারায়ে মুবাশশারাহঃ---------------
বদরের মুজাহিদগণের মধ্যে আবার নিম্নোক্ত দশজন সাহাবী অধিক উত্তম, জাহাদের বেহেশতী হইবার সাক্ষী হুযুরে পাক (صلى الله عليه وسلم) পূর্বাহ্নেই প্রদান করিয়াছেন।
যথাঃ (১) হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ)
(২) হযরত ওমর ফারুক (রাঃ)
(৩) হযরত ওসমান গণি জুন্নুরাইন (রাঃ)
(৪) হযরত মাওলা আলী শেরে খোদা (রাঃ)
(৫) হযরত ত্বালহা (রাঃ) (৬) হযরত জোবায়ের (রাঃ) (৭) হযরত আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রাঃ) (৮) হযরত সাআদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রাঃ) (৯) হযরত সাঈদ (রাঃ) (১০) হযরত আবু
ওবায়দা (রাঃ)।
উল্লিখিত সাহাবী দশজনের ভিতরে আবার প্রথমােক্ত চারজন তথা খােলাফায়ে রাশেদীনগণ সর্বাধিক ফজীলতের অধিকারী।
এই চারিজন খলীফা হুযুরে পাক (صلى الله عليه وسلم)-এর ওয়াফাতের পরে তাঁহার সুযােগ্য প্রতিনিধি হিসাবে সর্বমােট ত্রিশ বৎসর কাল খেলাফতের দায়িত্ব পালন করিয়াছিলেন। তন্মধ্যে হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) দুই বৎসরের কিছু বেশী সময়, হযরত ওমর ইবনে খাত্তাব (রাঃ) দশ বৎসর, হযরত ওসমান গণি জুন্নুরাইন (রাঃ) বার বৎসর এবং হযরত আলী (রাঃ) ছয় বৎসর কাল খলীফা ছিলেন।
খােলাফায়ে রাশেদীনের পরে হযরত আমীরে মুআবিয়া (রাঃ) মুসলিম সাম্রাজ্যের আমীর পদে প্রায় নয় বৎসরকাল সমাসীন ছিলেন। অবশ্য ইহার আগেই দ্বিতীয় খলীফা হযরত ওমর (রাঃ) আমীরে মুআবিয়া (রাঃ) কে মুলকে শামের (সিরিয়া) শাসকপদে ২০ বছর গভর্ণর নিযুক্ত করিয়াছিলেন এবং ঐ পদে তিনি দীর্ঘ বিশ বৎসর কাল বহাল ছিলেন।
[ সংকলনঃ বড় পীর হুজুর গাউসে আজম হযরত শায়খ আব্দুল কাদির জিলানী (রহঃ) এর লেখা বিখ্যাত কিতাব গুনিয়াতুত তালেবিন ও বুখারী শরীফ ] => যে সমস্ত আজিমুসশান মর্যাদাবান সাহাবাদের কে আল্লাহ ও তার রাসুল জান্নাতের গ্যারান্টি দিচ্ছেন তাহলে ঐই সমস্ত জাহেল শিয়া রাফেজী ও খারেজী জাহান্নামী কুত্তাদের কিসের ক্ষমতা যে সাহাবাকেরামের শানে বেয়াদবি ও গালাগালি করা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন